History of Computer Invention: Abacus, Napiers bones, Slide rule, Pascalene, Calculator, Difference Engine, Punched Card, Tabulating Machine, Mark-1, ABC, ENIAC, EDVAC, EDSAC...
কম্পিউটারের আবিষ্কারের ইতিহাস
অ্যাবাকাস নামক একটি প্রাচীন গণনার যন্ত্রকে কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়।
অ্যাবাকাস
অ্যাবাকস প্রচীনতম গণনা যন্ত্র। খ্রীষ্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে অ্যাবাকাসের প্রথম ব্যবহার শুরু হয়েছিল চীনে বলে জানা যায়। চীনে অ্যাবাকাসকে বলা হয় সুয়ানপান, জাপানে সরোবান এবং রাশিয়াতে বলা হয় স্কেটিয়া।
নেপিয়ারের অস্থি বা দন্ড
স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার ১৬১৪ সালে লগারিদম এর সারণি আবিষ্কার করেন। এর তিন বছর পর তিনিই দাগকাটা এবং সংখ্যা বসানো দণ্ড ব্যবহার করে ৬সংখ্যাভিত্তিক গণনায৬ভ৬আিব৪তনন্ত্র আবিষ্কার করেন। এসব দণ্ড নেপিয়ারের অস্থি নামে পরিচিত।এই আবিষ্কার গুণ, ভাগ, বর্গ, বর্গমূল নিরূপণের জন্য অনেক সহজ করে দেয়। uu vyss%vy u6y2 u ি৷ ি হ হতে হ৭নু৫তএ
স্লাইড রুল (Slide Rule)
নেপিয়ারের লগারিদমের সারণী ব্যবহার করে উইলিয়াম অটরেড ১৬৩০ সালে প্রথম বৃত্তাকার স্লাইড রুল আবিষ্কার করেন।
Pascalene
১৬৪২ সালে ফরাসি ব্লেইজ প্যাস্কেল একটি গণনা যন্ত্র তৈরি করেন। তিনি এ যন্ত্রে গিয়ারের সাহায্যে চাকা চালানোর পদ্ধতি ব্যবহার করে নতুন যুগের সূচনা করেন।
যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর
১৬৭১ সালে জার্মান গণিতবিদ গটফ্রাইড ভন লিবনিজ (Gotfried Von Leibnitz) সিলিন্ডার আকৃতিবিশিষ্ট গিয়ার ব্যবহার করে একটি যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর তৈরি করেন। এটি বিশ্বের প্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর। 'Stepped Reckoner' নামে পরিচিত এই হিসাবযন্ত্রটির সাহায্যে পৌনঃপুনিক যোগ, গুণ, এবং ভাগ করা যেত।
১৮২০ সালে ফ্রান্সের টমাস দ্য কলমার লিবনিজের যন্ত্রের অনুরূপ 'টমাস এরিথোমিটার' নামক যন্ত্র আবিষ্কার করেন। এটি ছিল সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক হস্তচালিত ক্যালকুলেটর।
ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine)
১৭৮৬ সালে জার্মানির মুলার ডিফারেন্স ইঞ্জিন নামে পরিচিত একটি ক্যালকুলেটর বা গণনা যন্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেন। এর প্রায় দুই যুগ পর ১৮১২ সালে ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক চার্লস ব্যাবেজ আরো উন্নত ডিফারেন্স ইঞ্জিন বা বিয়োগ ফলভিত্তিক গণনার যন্ত্র উদ্ভাবনের পরিকল্পনা করেন। চার্লস ব্যাবেজ ছিলেন একাধারে গণিতবিদ, দার্শনিক, আবিষ্কারক এবং যন্ত্র প্রকৌশলী। ১৮১৩ সালে তিনি ডিফারেন্স ইঞ্জিনকে উন্নত করার জন্য রয়েল সোসাইটি থেকে অনুদান পান। কিন্তু সেই সময়ে প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার কারণে মেশিনটি তৈরিতে বিঘ্ন ঘটে এবং রয়েল সোসাইটি অনুদান বন্ধ করে দেন। ১৮৩৩ সালে চার্লস ব্যাবেজ 'অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিন' নামে অপর একটি যন্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেন এবং নকশা তৈরি করেন। ব্যাবেজের এনালাইটিক্যাল ইঞ্জিনের পরিকল্পনায় আধুনিক কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য ছিল। ব্যাবেজ আধুনিক কম্পিউটারের মতোই তাঁর মেশিনে গাণিতিক ইউনিট, স্মৃতি, নিয়ন্ত্রণ ইউনিট, ইনপুট/আউটপুট চিহ্নিত করেন। এজন্য ব্যাবেজকে অনেকে 'কম্পিউটারের জনক' আবার অনেকে 'আধুনিক কম্পিউটারের জনক' বলে থাকেন।
এ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জিনে সাধারণত এসেম্বলি ভাষায় প্রোগ্রাম করার ব্যবস্থা ছিল এবং সফটওয়্যার দরকার হতো। এ সফটওয়্যার তৈরির জন্য ব্যাবেজ বিখ্যা ব্রিটিশ কবি লর্ড বায়রনের কন্যা এ্যাডা অগাস্টা ল্যাভলেসকে নিয়োগ দেন। এ্যাডা অগাস্টা ল্যাভলেস পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার। প্রোগ্রামিং ভাষা 'এ্যাডা' তাঁরই নামানুসারে নামকরণ করা হয়।
পাঞ্চকার্ড (Punchcard)
পাঞ্চকার্ড হলো এক প্রকারের শক্ত কাগজের তৈরি কার্ড, যা এর উপরের ছিদ্রের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির ভিত্তিতেবডিজিটাল তথ্য প্রকাশ করে। ইউনিট রেকর্ড যন্ত্রে তথ্য ইনপুট, প্রক্রিয়াকরণ এবং সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হতো এই কার্ড। হারম্যান হলিরিথ প্রথম এই কার্ডে ডেটা সংরক্ষণ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। হারম্যান হলিরিথ কর্তৃক এই কার্ড আবিষ্কৃত হয়েছে বলে একে হিলিরিথ কার্ডও বলে। ১৮০১ সালে বস্ত্রশিল্পে নকশা নিয়ন্ত্রণের জন্য পাঞ্চকার্ডের ব্যবহার শুরু হয়। ফ্রান্সের জোসেফ মেরি জেকার্ড বস্ত্রশিল্পে পাঞ্চকার্ড ব্যবহার শুরু করে।
টেবুলেটিং মেশিন (Tabulating Machine)
১৮৮০ সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড. হারম্যান হলিরিথ নামক একজন পরিসংখ্যানবিদ সেন্সাস মেশিন বা টেবুলেটিং মেশিন নামে একটি গণনা যন্ত্র আবিষ্কার করেন। তাঁর উদ্বাবিত যন্ত্রে তিনি পাঞ্চ কার্ড ব্যবহার করে ১৮৯০ সালের শুমারি মাত্র তিন বছরে শেষ করেন।
টুরিং মেশিন (Turing Machine)
ইংরেজ গণিতবিদ অ্যালান ম্যথিসন টুরিং ১৯৩৬ সালে টুরিং মেশিন এর মাধ্যমে গণনা এবং অ্যালগোরিদম এর ধারণার প্রবর্তন করেন। টুরিংকে তাত্ত্বিক কম্পিউটার প্রকৌশল এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার Artificial Intelligence) জনক বলা হয়।
Electro-Mechanical Computer
যান্ত্রিক ও ইলেক্ট্রনিক উভয় পদ্ধতির সমন্বয়ে গঠিত কম্পিউটারকে ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কম্পিউটার বলা হয়। ১৯৩৭ সালে আমেরিকার হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক ড. হাওয়ার্ড এইচ আইকেন ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল টেকনিক ব্যবহার করে চার্লস ব্যাবেজের এনালাইটিক ইঞ্জিনের মতো একটি যন্ত্র তৈরি করার পরিকল্পনা করেন, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে। ১৯৪৪ সালে হাওয়ার্ড আইকেন পৃথিবীর প্রথম ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কম্পিউটার তৈরি করেন। কম্পিউটারটিতে কোনো ভ্যাকুয়াম ভালব ব্যবহার করেননি। কম্পিউটারটি সম্পূর্ণভাবে তড়িৎযান্ত্রিক রিলের উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করেছিলেন। এটাই ছিল পৃথিবীর প্রথম স্বয়ংক্রিয় গণনাযন্ত্র। আইবিএম Automatic Sequence Cotrolled Calculator (ASCC) যন্ত্রটির নামকরণ করেন মার্ক-১ (Mark-1)। মূলত মার্ক-১ ছিল হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় ও আইবিএম কোম্পানির যৌথ উদ্যোগের একটি ফসল।
ইলেকট্রনিক কম্পিউটার (Electronic Computer)
১৯৩৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া স্টেইট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জন এটানসফ (John Atanasoff) এবং তাঁর ছাত্র ক্লিফোর্ড বেরি (Clifford Berry) ভ্যাকুয়াম টিউব ব্যবহার করে একটি ইলেকট্রনিক কম্পিউটার নির্মাণ করেন। উদ্ভাবকের নামানুসারে কম্পিউটারটিকে ABC (Atanasoff Berry Computerl) বলা হয়। এতে তথ্য সংরক্ষণের জন্য মেমরি হিসেবে ক্যাপাডিটর ব্যবহার করা হয়।
১৯৪৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জন মাউসলি এবং তাঁর এক ছাত্র প্রেসপার একার্ট যৌথভাবে ENIAC (Electronic Numerical Integrator and Computer) নামক একটি গণনা যন্ত্র তৈরি করেন। এটি পৃথিবীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ বা সফল ইলেকট্রনিক কম্পিউটার।
১৯৪৫ সালে হাঙ্গেরীয় গণিতবিদ জন ভন নিউম্যান কম্পিউটার যন্ত্রের জন্য বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ব্যবহার এবং যন্ত্রের অভ্যন্তরেই উপাত্ত ও নির্বাহ সংকেত সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলে অভিমত প্রকাশ করেন। তাঁর এ ধারণা সংরক্ষিত প্রোগ্রাম নামে খ্যাত। ভন নিউম্যানের তত্ত্বকে ব্যবহার করে ১৯৪৬ সালের মধ্যে ড. জন মাউসলি এবং তাঁর ছাত্র প্রেসপার একার্ট EDVAC (Electronic Descrete Variable Automatic Computer) নামে অপর একটি কম্পিউটার তৈরি করেন। এই কম্পিউটারে প্রোগ্রাম সংরক্ষণ এবং রক্ষিত প্রোগ্রাম পুনর্বার নির্বাহের ব্যবস্থা ছিল।
১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ডের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর মরিস উইলকিলস এর নেতৃত্বাধীন একদল নিউম্যানের ধারণাকে কাজে লাগিয়ে EDSAC (Electronic Delay Storaged Automatic Calculator) তৈরি করেন। এতে ডেটা সংরক্ষণের জন্য প্রথম Mercury Delay Lines মেমোরি ব্যবহৃত হয়। প্রকৃতপক্ষে EDSAC ই প্রথম সংরক্ষিত প্রোগ্রামবিশিষ্ট ইলেক্টনিক কম্পিউটার।
জন মাউসলি ও তাঁর ছাত্র প্রেসপার একার্ট ১৯৫১ সালে UNIVAC (Universal Automatic Calculator) তৈরি করেন। UNIVAC ছিল বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদিত প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার এবং এ যন্ত্রেই সর্বপ্রথম চুম্বক-ফিতা ব্যবহার করা হয়েছিল।
কম্পিউটার জাদুঘর
বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র কম্পিউটার জাদুঘর যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় অবস্থিত।
Comments